১। গাছঃ দ্রুত বর্ধনশীল। কাণ্ড সংখ্যা ৪/৫ টি এবং হালকা সবুজ বর্ণের।
২। আলুঃ চ্যাপ্টা গোলাকার, আকার মাঝারী থেকে বড়, ত্বক মসৃণ এবং রং হালকা হলুদ, শাঁসের রং হালকা হলুদ এবং চোখ কিঞ্চিৎ গভীর ও সংখ্যা বেশী।
৩। শুষ্ক পর্দাথঃ ১৯.৮০ ± ১ %।
৪। অঙ্কুরঃ প্রথমে গোলাকার পরে একটু লম্বা, প্রধানতঃ সবুজ তবে কিছুটা ফ্যাকাসে লাল বেগুনী বর্ণের এবং কিঞ্চিৎ লোমশ।
৫। অঙ্কুরোদগমঃ সাধারণ তাপমাত্রায় ৫০-৬০ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
৬। জীবন কালঃ ৭৫-৮৫ দিন তবে ৬০-৬৫ দিন থেকেই আগাম আলু উত্তোলন করা যায়।
৭। ফলনঃ হেক্টর প্রতি ২৫-৪০ টন।
৮। বিশেষ বৈশিষ্ট্যঃ ভিজা মাটিতে এবং মৌসুমের আগে অথবা পরেও রোপণ করা যায়। মড়ক ও অন্যান্য ভাইরাস রোগ সহনশীল।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বপনের সময়
: উত্তরাঞ্চলে মধ্য- কার্তিক (নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ), দক্ষিণাঞ্চলে অগ্রহায়ণ ১ম সপ্তাহ থেকে ২য় সপ্তাহ (নভেম্বর মাসের মধ্য থেকে শেষ সপ্তাহ)।
২ । মাড়াইয়ের সময়
: বপনের পর থেকে ৯০-৯৫ দিনের মধ্যে আলু উঠাতে হয়।
৩ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: গোবর ৮-১০ টন, ইউরিয়া ২৫০-৩৫০ কেজি, টিএসপি ১২০-১৫০ কেজি, এমওপি ২৫০-৩৫০ কেজি, জিপসাম ১০০-১২০ কেজি, জিংক সালফেট ৮-১০ কেজি, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ৮০-১০০ কেজি (অম্লীয় বেলে মাটির জন্য), বোরিক এসিড ৮-১০ কেজি (বেলে মাটির জন্য)। গোবর, অর্ধেক ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট (প্রয়োজনবোধে) রোপনের সময় জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর অর্থাৎ দ্বিতীয় বার মাটি তোলার সময় প্রয়োগ করতে হবে। অম্লীয় বেলে মাটির জন্য ৮০-১০০ কেজি/হেক্টর ম্যাগনেসিয়াম সালফেট এবং বেলে মাটির জন্য বোরন ৮-১০ কেজি/হেক্টর প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।