লেবুর ক্যাঙ্কার (Canker) রোগটি জ্যানথোমোনাস সাইট্রি (Xanthomons citri)
নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। এ ব্যাকটেরিয়া রোগাক্রান্ত
গাছের পরিত্যক্ত অংশে বেঁচে থাকে এবং নতুনভাবে অন্য গাছকে আক্রমণ করে।
বাতাস ও পানির ছিটার দ্বারা ব্যাকটেরিয়া এক গাছ থেকে অন্য গাছে ছড়ায়।
ব্যাকটেরিয়া স্টোমাটা ও যে কোন ক্ষতের মাধ্যমে গাছের মধ্যে প্রবেশ করে।
রোগের লক্ষণ●এ রোগে পাতা, আগা ও ফল আক্রান্ত হয়।●প্রথমে কচি পাতায় ছোট ছোট তেলের ফোটার ন্যায় দাগ উৎপন্ন হয়। ●কয়েক দিনের মধ্যে আক্রান্ত স্থান মোটা হয়ে মাঝখানের টিস্যু সাদাটে হয় এবং ফোস্কার মত উচু হয়ে বের হয়ে আসে।●ক্রমে দাগের রং বাদামী ও খসখসে হয়ে যায়। তবে তার কেন্দ্রস্থল একটু নীচু থাকে।●দাগের চারিদিকে হলুদ আভা দ্বারা ঘেরা থাকে।●দাগ পাতার ঊভয় পৃষ্ঠায় দেখা যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাতার উল্টা পৃষ্ঠে বেশী হয় এবং উপরিভাগ খসখসে মনে হয়।●দাগের মধ্যস্থিত টিস্যু খসে পড়ে এবং এর জন্য পাতায় ছোট ছোট ছিদ্রের সৃষ্টি হয়।●ফলের দাগের মুখগহ্বর বেশ পরিস্কার। দাগের চারিপাশে হলুদ আভা থাকে না।●রোগটি কেবল ফলের খোসায় সীমাবদ্ধ থাকে এবং ভিতরের রসালো অংশের বিশেষ কোন ক্ষতি করে না।●ফলের ফলন তেমন কমে না, তবে বাজার মূল্য কমে যায়।রোগের প্রতিকার:●নীরোগ বীজতলার চারা ব্যবহার করতে হবে।●গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতি ঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিতে হবে।●গাছের নিচে ঝড়ে পড়া পাতা ও ফল সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলতে হবে।●প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে চিলিটেড জিংক স্প্রে করলে রোগের তীব্রতা কমে যায়।●ট্রাই
ব্যাসিক কপার সালফেট গ্রুপের ঔষধ (যেমন-কিউপ্রোক্স্যাট ৩৪৫ এসসি) প্রতি
লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে
হবে। ●মিউপিরোসিন গ্রুপের ব্যাকটেরিয়ানাশক (যেমন-ব্যাকট্রোবান) ১ লিটার
পানিতে ৪ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।বি:দ্র: ব্যাকট্রোবান ও কিউপ্রোক্স্যাট ৩৪৫ এসসি ঔষধ দুইটি পর্যায়ক্রমে একটা ব্যবহার করার পর আরেকটি ব্যবহার করতে হবে।
উত্তর সমূহ
লেবুর ক্যাঙ্কার (Canker) রোগটি জ্যানথোমোনাস সাইট্রি (Xanthomons citri) নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। এ ব্যাকটেরিয়া রোগাক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশে বেঁচে থাকে এবং নতুনভাবে অন্য গাছকে আক্রমণ করে। বাতাস ও পানির ছিটার দ্বারা ব্যাকটেরিয়া এক গাছ থেকে অন্য গাছে ছড়ায়। ব্যাকটেরিয়া স্টোমাটা ও যে কোন ক্ষতের মাধ্যমে গাছের মধ্যে প্রবেশ করে। রোগের লক্ষণ●এ রোগে পাতা, আগা ও ফল আক্রান্ত হয়।●প্রথমে কচি পাতায় ছোট ছোট তেলের ফোটার ন্যায় দাগ উৎপন্ন হয়। ●কয়েক দিনের মধ্যে আক্রান্ত স্থান মোটা হয়ে মাঝখানের টিস্যু সাদাটে হয় এবং ফোস্কার মত উচু হয়ে বের হয়ে আসে।●ক্রমে দাগের রং বাদামী ও খসখসে হয়ে যায়। তবে তার কেন্দ্রস্থল একটু নীচু থাকে।●দাগের চারিদিকে হলুদ আভা দ্বারা ঘেরা থাকে।●দাগ পাতার ঊভয় পৃষ্ঠায় দেখা যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাতার উল্টা পৃষ্ঠে বেশী হয় এবং উপরিভাগ খসখসে মনে হয়।●দাগের মধ্যস্থিত টিস্যু খসে পড়ে এবং এর জন্য পাতায় ছোট ছোট ছিদ্রের সৃষ্টি হয়।●ফলের দাগের মুখগহ্বর বেশ পরিস্কার। দাগের চারিপাশে হলুদ আভা থাকে না।●রোগটি কেবল ফলের খোসায় সীমাবদ্ধ থাকে এবং ভিতরের রসালো অংশের বিশেষ কোন ক্ষতি করে না।●ফলের ফলন তেমন কমে না, তবে বাজার মূল্য কমে যায়।রোগের প্রতিকার:●নীরোগ বীজতলার চারা ব্যবহার করতে হবে।●গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতি ঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিতে হবে।●গাছের নিচে ঝড়ে পড়া পাতা ও ফল সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলতে হবে।●প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে চিলিটেড জিংক স্প্রে করলে রোগের তীব্রতা কমে যায়।●ট্রাই ব্যাসিক কপার সালফেট গ্রুপের ঔষধ (যেমন-কিউপ্রোক্স্যাট ৩৪৫ এসসি) প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে। ●মিউপিরোসিন গ্রুপের ব্যাকটেরিয়ানাশক (যেমন-ব্যাকট্রোবান) ১ লিটার পানিতে ৪ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।বি:দ্র: ব্যাকট্রোবান ও কিউপ্রোক্স্যাট ৩৪৫ এসসি ঔষধ দুইটি পর্যায়ক্রমে একটা ব্যবহার করার পর আরেকটি ব্যবহার করতে হবে।