কুইক কম্পোস্ট সার তৈরী প্রণালী
Badal
12:21 AM
Add Comment
প্রযু্ক্তি
কুইক কম্পোস্ট অল্প সময়ে অর্থাৎমাত্র ১৫ দিনে তৈরীও ব্যবহার উপযোগী উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন একটি জৈব সার। কুইককম্পোস্ট তৈরীর উপাদান - সরিষারখৈল, কাঠের গুঁড়া বাচাউলের কুঁড়া ও অর্ধপঁচা(ডিকম্পোজড) গোবর বা হাঁসমুরগরি বিষ্ঠা যার অনুপাতহবে ১ : ২ : ৪অর্থাৎ একভাগ খৈল + দুইভাগকাঠের/চাউলের কুঁড়া + চারভাগগোবর/হাঁস-মুরগীর বিষ্ঠা।কুইক কম্পোস্ট তৈরীপদ্ধতি· গুঁড়া করা সরিষারখৈল, চাউলের কুঁড়া / কাঠেরগুঁড়া ও ডিকম্পোজড গোবরভালভাবে মিশাতে হবে।· মিশ্রনে পরিমান মত পানিযোগ করে এমনভাবে কাইবানাতে হবে যাতে ঐমিশ্রণ দিযে কম্পোস্ট বলতৈরি করলে ভেঙ্গে যাবেনাকিন্তু ১ মিটার উপরথেকে ছেড়ে দিলে তাভেঙ্গে যাবে।· মিশ্রিত পদার্থগুলো স'প করেএমন ভাবে রেখে দিতেহবে যাতে ভিতরে জলীয়বাষ্প বের হতে নাপারে আর এ কারণেপচনক্রিয়া সহজতর হয়।স'পটির পরিমান ৩০০- ৪০০ কেজির মধ্যে হওয়াভাল। স'পের সমসত্ম উপাদানএকবারে না মিশিয়ে ৩/ ৪ বারে মিশাতে হবে।· শীতকালে স্তুপের উপরে ও চারদিকেচটের বস্তা দিয়ে ঢেকেদিতে হবে। আরবর্ষাকালে বৃষ্টির জন্য পলিথিন সীটব্যবহার করতে হবে এবংবৃষ্টি থেমে গেলে পলিথিনসরিয়ে ফেলতে হবে।· স্তুপ তৈরীর ২৪ঘন্টা পর থেকে স্তুপেরতাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং৪৮-৭২ ঘন্টার মধ্যে৬০-৭০ সেঃ তাপমাত্রায়পৌছায়। অর্থাr স্তুপে তখন আঙ্গুল ঢোকালেঅসহনীয় তাপমাত্রা অনুভূত হবে (৬০-৭০ সেঃ)।যার ফলে সৃষ্ট তাপেমিশ্রিত পদার্থ পুড়ে নষ্টহতে পারে। তাইস্তুপ ভেঙ্গে উলট - পালটকরে ১ ঘন্টা সময়েরজন্য মিশ্রনকে ঠান্ডা করে নিতেহবে এবং পুনরায় পূর্বেরন্যায় স্তুপ করে রাখতেহবে।· এভাবে৪৮-৭২ ঘন্টা পরপর স্তুপ ভেঙ্গে উলট- পালট করতে থাকলে ১৫দিনের মধ্যে উক্ত উন্নতমিশ্র জৈব সার জমিতেপ্রয়োগের উপযোগী হবে।সার তৈরী হলে তাঝুরঝুরে শুকনা হবে এবংকালো বাদামী বর্ণের হবে।প্রয়োগমাত্রা· জমির উর্বরতা ওফসলভেদে প্রতি শতাংশে প্রায়৬-১০ কেজি কুইককম্পোস্ট সার ব্যবহার করতেহয়। ফসলেরজমি তৈরীর সময়ে প্রতিশতাংশে ৬ কেজি এবংধান চাষের ক্ষেত্রে কুশিপর্যায়ে সেচের পূর্বে ২কেজি করে উপরি প্রয়োগকরা যেতে পারে।· সবজী ফসলের ক্ষেত্রেজমি তৈরীর সময়ে প্রতিশতাংশে ৬ কেজি এবং৪ কেজি সার রিংবা নালা করে সব্জীবেডে উপরি প্রয়োগ করতেহয়। সারপ্রয়োগের পর সেচ দিতেহয়।পুষ্টিমান ওব্যবহারেরউপকারীতাকুইক কম্পোস্ট সারে নাইট্রোজেন - ২.৫৬%, ফসফরাস -০.৯৮%, ও পটাশিয়াম- ০.৭৫% পাওয়া যায়। এছাড়াও ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও কিছু গৌণখাদ্য উপাদান থাকে।( ঢা.বি. ল্যাব ১৯৯৯)কুইক কম্পোস্ট সার ব্যবহারের ফলে মাটিতে বাতাস চলাচল বৃদ্ধি পায়, অনুজীবের ক্রিয়া বাড়তে থাকে, ফসলের প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান সহজলভ্য হয়।ফলে আশানরূপ ফলন পাওয়া যায় এবং গুনগতমানসম্পন্ন কৃষিপণ্য উr পাদন সম্ভব হয়।
উত্তর সমূহ
-
-
Business
-
-
-
-
Fashion
-
-
-
-
Sports
-
Games
-
Technology
-
Download
কুইক কম্পোস্ট সার তৈরী প্রণালী Badal 12:21 AM Add Comment প্রযু্ক্তি কুইক কম্পোস্ট অল্প সময়ে অর্থাৎমাত্র ১৫ দিনে তৈরীও ব্যবহার উপযোগী উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন একটি জৈব সার। কুইককম্পোস্ট তৈরীর উপাদান - সরিষারখৈল, কাঠের গুঁড়া বাচাউলের কুঁড়া ও অর্ধপঁচা(ডিকম্পোজড) গোবর বা হাঁসমুরগরি বিষ্ঠা যার অনুপাতহবে ১ : ২ : ৪অর্থাৎ একভাগ খৈল + দুইভাগকাঠের/চাউলের কুঁড়া + চারভাগগোবর/হাঁস-মুরগীর বিষ্ঠা।কুইক কম্পোস্ট তৈরীপদ্ধতি· গুঁড়া করা সরিষারখৈল, চাউলের কুঁড়া / কাঠেরগুঁড়া ও ডিকম্পোজড গোবরভালভাবে মিশাতে হবে।· মিশ্রনে পরিমান মত পানিযোগ করে এমনভাবে কাইবানাতে হবে যাতে ঐমিশ্রণ দিযে কম্পোস্ট বলতৈরি করলে ভেঙ্গে যাবেনাকিন্তু ১ মিটার উপরথেকে ছেড়ে দিলে তাভেঙ্গে যাবে।· মিশ্রিত পদার্থগুলো স'প করেএমন ভাবে রেখে দিতেহবে যাতে ভিতরে জলীয়বাষ্প বের হতে নাপারে আর এ কারণেপচনক্রিয়া সহজতর হয়।স'পটির পরিমান ৩০০- ৪০০ কেজির মধ্যে হওয়াভাল। স'পের সমসত্ম উপাদানএকবারে না মিশিয়ে ৩/ ৪ বারে মিশাতে হবে।· শীতকালে স্তুপের উপরে ও চারদিকেচটের বস্তা দিয়ে ঢেকেদিতে হবে। আরবর্ষাকালে বৃষ্টির জন্য পলিথিন সীটব্যবহার করতে হবে এবংবৃষ্টি থেমে গেলে পলিথিনসরিয়ে ফেলতে হবে।· স্তুপ তৈরীর ২৪ঘন্টা পর থেকে স্তুপেরতাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং৪৮-৭২ ঘন্টার মধ্যে৬০-৭০ সেঃ তাপমাত্রায়পৌছায়। অর্থাr স্তুপে তখন আঙ্গুল ঢোকালেঅসহনীয় তাপমাত্রা অনুভূত হবে (৬০-৭০ সেঃ)।যার ফলে সৃষ্ট তাপেমিশ্রিত পদার্থ পুড়ে নষ্টহতে পারে। তাইস্তুপ ভেঙ্গে উলট - পালটকরে ১ ঘন্টা সময়েরজন্য মিশ্রনকে ঠান্ডা করে নিতেহবে এবং পুনরায় পূর্বেরন্যায় স্তুপ করে রাখতেহবে।· এভাবে৪৮-৭২ ঘন্টা পরপর স্তুপ ভেঙ্গে উলট- পালট করতে থাকলে ১৫দিনের মধ্যে উক্ত উন্নতমিশ্র জৈব সার জমিতেপ্রয়োগের উপযোগী হবে।সার তৈরী হলে তাঝুরঝুরে শুকনা হবে এবংকালো বাদামী বর্ণের হবে।প্রয়োগমাত্রা· জমির উর্বরতা ওফসলভেদে প্রতি শতাংশে প্রায়৬-১০ কেজি কুইককম্পোস্ট সার ব্যবহার করতেহয়। ফসলেরজমি তৈরীর সময়ে প্রতিশতাংশে ৬ কেজি এবংধান চাষের ক্ষেত্রে কুশিপর্যায়ে সেচের পূর্বে ২কেজি করে উপরি প্রয়োগকরা যেতে পারে।· সবজী ফসলের ক্ষেত্রেজমি তৈরীর সময়ে প্রতিশতাংশে ৬ কেজি এবং৪ কেজি সার রিংবা নালা করে সব্জীবেডে উপরি প্রয়োগ করতেহয়। সারপ্রয়োগের পর সেচ দিতেহয়।পুষ্টিমান ওব্যবহারেরউপকারীতাকুইক কম্পোস্ট সারে নাইট্রোজেন - ২.৫৬%, ফসফরাস -০.৯৮%, ও পটাশিয়াম- ০.৭৫% পাওয়া যায়। এছাড়াও ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও কিছু গৌণখাদ্য উপাদান থাকে।( ঢা.বি. ল্যাব ১৯৯৯)কুইক কম্পোস্ট সার ব্যবহারের ফলে মাটিতে বাতাস চলাচল বৃদ্ধি পায়, অনুজীবের ক্রিয়া বাড়তে থাকে, ফসলের প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান সহজলভ্য হয়।ফলে আশানরূপ ফলন পাওয়া যায় এবং গুনগতমানসম্পন্ন কৃষিপণ্য উr পাদন সম্ভব হয়।