লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের বিভিন্ন রাস্তার দু’পাশে স্থানীয় কৃষকরা হলুদের আবাদ
করছেন। এতে নিজদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করতেও পারছেন। গত কয়েক বছর ধরে
কৃষকরা এভাবে হলুদের চাষ করে আসছেন। প্রথম দিকে কয়েকজন কৃষক শুরু করলেও
বর্তমানে অনেকেই এখন বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে হলুদ চাষে আগ্রহী।
লরেন্স-সাহেবেরহাট সড়কের দুইপাশে হলুদক্ষেত চোখে পড়ে। রাস্তার পাশে ঢালু
অংশে সারি সারি হলুদ গাছ। গাছগুলো এখন যত্নে বেড়ে উঠছে। সার-কীটনাশক ছাড়াই
কেবলমাত্র জৈব সার ব্যবহার করে কৃষকরা হলুদের বাম্পার ফলন পাচ্ছেন।
নবীনগর এলাকার কৃষক আবুল খায়ের বাংলানিউজকে জানান, তার ব্যক্তিগত কোনো
জমি নেই। অন্যের জমিতে বর্গায় ধান, সোয়াবিন ও মরিচ চাষ করেন। উৎপাদিত ফসলের
অর্ধেক জমির মালিককে দিতে হয়। এদিকে বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে কম খরচে
হলুদ চাষ করেন। উৎপাদিত হলুদ কাউকে দিতে হয় না। পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে
বিক্রি করতে পারেন।
এদিকে, চর জাঙ্গালিয়া, চরমার্টিন, তোরাবগঞ্জ ও চরকাদিরা ইউনিয়নের
বিভিন্ন রাস্তার পাশে স্থানীয় কৃষকরা সার ও কীটনাশক মুক্ত বৈজ সারের
ব্যবহারে হলুদ চাষ করতে দেখা গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। চলতি মৌসুমেও
কৃষকরা হলুদের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন।
চাষিরা জানায়, এভাবে হলুদ চাষে খরচ কম লাগে। রাস্তার পাশের জমি ঢালু
থাকায় জমি তৈরিতে বাড়তি খরচ লাগে না। কোদাল দিয়ে চাষ দিতে হয়। আগাছা
পরিস্কার করে মাটি ঝুরঝুরা করে নিতে হয়। পরে গোবরসহ জৈব সার মাটির সঙ্গে
মিশিয়ে রোপণ করি। এতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয় না। রাস্তার পাশে হলুদ
চাষে উৎপাদন খরচ কম; লাভ বেশি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিক উল্লাহ মুরাদ বাংলানিউজকে জানান, খরিপ
মৌসুমে হলুদের চাষ হয়। মধ্য মার্চ থেকে মধ্যে এপ্রিল পর্যন্ত হলুদের কন্দ
লাগানোর উত্তম সময়। দেরিতে হলুদ লাগালে শুধু গাছের দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে। মোথা
বা হলুদ কম হয়। রোপণের ৯-১০ মাস পর গাছের পাতা যখন হলদে রঙ ধারণ করে শুকিয়ে
যায়, ঠিক তখনই হলুদ সংগ্রহের সময়। জানুয়ারি শেষ হতে মার্চের প্রথম পর্যন্ত
হলুদ সংগ্রহ করা হয়।
উত্তর সমূহ